শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৪১ অপরাহ্ন
বোরো ধানের বাম্পার ফলন কৃষকের মনে প্রশান্তি
সত্যেন্দ্র্য নাথ রায় ঃঃ- নীল ফামারী
শস্য ভাণ্ডার হিসেবে খ্যাত নীলফামারী ডোমার উপজেলা। কারন এখানে রয়েছে উন্নত মানের ভিত্তি বীজ আলু উৎপাদন খামার। তা ছারাও এখানকার অধিকাংশ মানুষ কৃষির উপর নির্ভরশীল। আর বছরের শিংহভাগ খাদ্যের যোগান বোরো থেকেই আসে। সেই বোরোধান কাটতে এখন ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষক।
সারেদেশের ন্যায় নীলফামারীতে ও বোরোর বাম্পার ফলন হয়েছে। বর্তমানে ব্যপক
ভাবে চলছে ধানকাটার ধুম। কয়েক দিনের ৪০ ডিগ্রি তাপমাত্রার তপ্তরোদ কে উপেক্ষা করে মাঠের ধান ঘরে তুলতে কৃষকের নেই কোন ক্লান্তির ছাঁপ।পাকা ধান ঘরে তুলতে পারলেই যেন প্রশান্তি আসে কৃষকের মনে।উপজেলার হরিনচড়া ইউনিয়নের কৃষক বনমালী রায়ের ক্ষেতে গিয়ে কথা হলে তিনি বলেন এবারে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে।
বিঘা (৩৩) প্রতি খরচ ১২ হাজার টাকা। হাই ব্রীড (হীরা) ধান বিঘা প্রতি (৩৩)শতাংশে ফলন আসে ২৪ হতে ২৫ মন।মোটা(৮০ কেজি) বস্তা দাম চলছে ১৮০০ শো টাকা। আটাশ ধান আশি কেজি বস্তা চলছে ২ হাজার হতে ২১ শত টাকা।
আর এই ফলন সম্ভব হয়েছে একমাত্র আবহাওয়া অনুকুলে থাকার কারনে ও কৃষি অফিস কর্তৃক কৃষকের মাঝে উন্নত বীজ প্রদান, সরকারের রাসায়নিক সার সঠিক সময়ে সরবরাহ,উপসহকারী অফিসার দের কৃষকের খেতে গিয়ে যাবতীয় পরামর্শ দেওয়ার কারনে। আশানুরূপ ফলন ও ধানের ভালোদাম পেয়ে প্রশান্তি এখন কৃষকের মনে।
উপজেলা কৃষি অফিস সুত্র বলছে এবারে ১৩ হাজার ২১৫ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ
করা হয়েছে।তবে লক্ষ্য মাত্রা ছারিয়ে যাবে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার(কৃষিবিদ)রফিকুল ইসলাম বলেন আমাদের বিতরণকৃত বীজের মান খুবই ভালো। তাছারা আামাদের অফিসের উপসহকারী কর্মকর্তাগন নিয়মিত মাঠপর্যায়ে গিয়ে কাজকরে যাচ্ছে। কৃষকদের সব বিষয়ে পরামর্শ ও আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এবার ফলন ভালো হয়েছে।